Blogger Widgets ২০১৩ সালে বাজারে যেসব প্রযুক্তিপণ্য আসবে | প্রযুক্তিকথন.কম

২০১৩ সালে বাজারে যেসব প্রযুক্তিপণ্য আসবে

২০১২ সালে বাজারে আসা প্রযুক্তিপণ্যগুলো হয়তো আপনাকে আশানুরূপ খুশিতেই রেখেছে। আপনার হাতের নাগালে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই করতে পারছেন, আপনার গাড়ি হয়তো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলছে বা আপনি ভিডিও গেমে দেখছেন বিশাল পরিবর্তন। এর চেয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তিপণ্য চান? সেটা অবশ্য নির্ভর করছে আপনার পছন্দের ওপর। আপনি যদি এখনও কাগজ-কলম ব্যবহার করে চিঠি লেখার যুগেই পড়ে থাকেন, তাহলে হয়তো আপনার কিছু আসবে যাবে না। তবে প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে নাড়া দিতে ২০১৩ সাল প্রায় উপস্থিত। আগামী বছরের বাজারের সম্ভাব্য প্রযুক্তিপণ্যের তালিকায় রয়েছে এক্সবক্স ৭২০, প্লেস্টেশন ৪, ব্ল্যাকবেরি ১০, মাইক্রোসফট সারফেস প্রো, আইপ্যাড ৫, আমাজন স্মার্টফোন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস, ফুজিত্সু লাইফবুক ২০১৩, ভাঁজ করা গাড়ি ও নমনীয় স্মার্টফোন। Capture
এক্সবক্স ৭২০:
বর্তমানে বাজারে থাকা মাইক্রোসফটের গেম কনসোল ‘এক্সবক্স৩৬০’-এর চাহিদা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। তাই ২০১২ সালে নতুন গেম কনসোল আনার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে মাইক্রোসফট। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট পিসি ম্যাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৬ মার্চ নতুন গেম কনসোল বাজারে আনার বিষয়ে মাইক্রোসফট তথ্য প্রকাশ করেছিল। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও বিভিন্ন প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে দীর্ঘদিন ধরেই মাইক্রোসফটের নতুন গেম কনসোল নিয়ে গুজব চালু রয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠেয় ই৩ কনফারেন্সে মাইক্রোসফটের নতুন গেম কনসোল ‘এক্সবক্স৭২০’ আসতে পারে এমন গুজবকে আনুষ্ঠানিকভাবেই নাকচ করে প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ২০১৩ সালের শুরুতেই হয়তো দেখা মিলতে পারে ‘এক্সবক্স৭২০’ নামের গেম কনসোলটির। এক্সবক্স ৭২০ গেম কনসোলটিতে থাকবে উন্নত গ্রাফিকস, প্রসেসর ও মোশন সেন্সর প্রযুক্তির ব্যবহার। এ কারণেই নতুন গেম কনসোলটিকে ‘ভিনগ্রহের’ গেম কনসোল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
প্লেস্টেশন ৪:
সনি তাদের প্লেস্টেশন গেম কনসোলের পরবর্তী সংস্করণটি তৈরি করছে। নতুন সংস্করণটি এখনো নির্মাণাধীন থাকলেও প্রযুক্তি বিশ্বে ইতিমধ্যে এটি ‘প্লেস্টেশন ৪’ নামেই পরিচিতি পেয়েছে। এক খবরে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ভার্জ জানিয়েছে, নতুন কনসোলটির কোড নাম ‘অরবিস’ রাখতে পারে সনি। সামনের বছর মাইক্রোসফটের এক্সবক্স কনসোলটির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন কনসোলটি বাজারে ছাড়বে সনি, এমনটাই ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। নতুন গেম কনসোলে এএমডির তৈরি এক্স৬৩ সিপিইউ ও উন্নত গ্রাফিকস কার্ড যুক্ত করতে পারে সনি। ফলে কনসোলটি ৪০৯৬ বাই ২১৬০ রেজ্যুলুশনে ছবি দেখাতে সক্ষম হবে।
ব্ল্যাকবেরি ১০:
ব্ল্যাকবেরি তৈরি করে রিসার্চ ইন মোশন বা রিম খ্যাতি পেলেও কয়েক বছর ধরে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের মতো স্মার্টফোনগুলো বাজারে আসার কারণে প্রতিষ্ঠানটি তীব্র প্রতিযোগিতার মুখেই পড়েছে। এ কঠিন সময়ে, আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারি ব্ল্যাকবেরি ১০ নামে বাজারে নতুন প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেম আনছে রিম। বিবিসি জানিয়েছে, নতুন অপারেটিং সিস্টেমযুক্ত স্মার্টফোন ২০১২ সালে বাজারে আসার কথা থাকলেও কয়েকবার সময় পেছানোর পর শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালেই তা বাজারে আনছে রিম। স্মার্টফোন বাজারে একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য চালানো রিম প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছিল অ্যাপলের আইফোন এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনগুলোর দৌরাত্ম্যে। ২০০৮ সাল থেকে শেয়ারবাজারে রিমের শেয়ারের দাম কমেছে শতকরা ৯০ শতাংশেরও বেশি। রিম জানিয়েছে, ব্ল্যাকবেরি ১০-এর সঙ্গে ব্ল্যাকবেরির দু’টি নতুন মডেলের স্মার্টফোন বাজারে আনবে তারা। এর একটিতে থাকবে টাচস্ক্রিন, অন্যটিতে কোয়ারটি কি প্যাড। স্মার্টফোন দুটির ‘ব্ল্যাকবেরি জেড ১০’ ও ‘ব্ল্যাকবেরি এন সিরিজ’ হিসেবে বাজারে আসতে পারে। স্মার্টফোন ছাড়াও ব্ল্যাকবেরি ১০ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে আনতে পারে রিম।
আইপ্যাড ৫ ও আইফোন ৫এস:
আইপ্যাড ও আইফোনের পরবর্তী সংস্করণ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে অ্যাপল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপলের নতুন ট্যাবলেট কম্পিউটারের নাম হতে পারে আইপ্যাড ৫ ও স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ‘আইফোন ৫ এস’। ৭.৯ ইঞ্চি মাপের আইপ্যাড মিনি, পঞ্চম প্রজন্মের আইপ্যাড ও ‘আইফোন ৫ এস’ আগামী বছরের মার্চ মাসের দিকে বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খবর রটেছে, আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাত্ বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই সপ্তম প্রজন্মের স্মার্টফোন ও পঞ্চম প্রজন্মের আইপ্যাডের ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপল। নতুন স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ছাড়াও আগামী বছর নতুন প্রযুক্তির টেলিভিশনও তৈরি করতে পারে প্রযুক্তি বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, প্রযুক্তি বাজারে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে অ্যাপলকে। সম্প্রতি আইপ্যাড মিনি বাজারে এনে প্রচলিত পণ্য তালিকার বাইরে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাই আগামী বছর বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তালিকায় বেশকিছু রদবদল করতে পারে অ্যাপল। এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আইপ্যাড মিনির পরবর্তী সংস্করণ ও আইপ্যাডের পঞ্চম সংস্করণ। এসব পণ্যে বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি হালকা-পাতলা ও আধুনিক প্রযুক্তি সমন্বিত করতে পারে অ্যাপল।
উইন্ডোজ HTC_One_360_Wideসারফেস প্রো:
উইন্ডোজ আরটি নির্ভর ট্যাবলেটের সাফল্যের পর ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ‘উইন্ডোজ প্রো’ সংস্করণভিত্তিক ‘সারফেস’ ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট বাজারে আনছে মাইক্রোসফট। এ ট্যাবলেটের দাম হবে ৮৯৯ মার্কিন ডলার। বিবিসি অনলাইনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, উইন্ডোজ প্রো সিরিজের সারফেস ট্যাবলেটে ইনটেলের তৈরি চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে এতে পূর্ণ সংস্করণের উইন্ডোজ ৮ সফটওয়্যার সমর্থন করবে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ৬৪ গিগাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার ১০.৬ ইঞ্চি মাপের সারফেস ট্যাবের দাম হবে ৮৯৯ মার্কিন ডলার, ১২৮ গিগাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার ট্যাবলেটের দাম হবে আরও ১০০ ডলার বেশি। তবে দুটি সংস্করণের ক্ষেত্রেই মাইক্রোসফটের কিবোর্ড আলাদাভাবে ৯৯ ডলারে কিনতে হবে। মাইক্রোসফটের দাবি, উইন্ডোজ প্রো নির্ভর ট্যাবলেটে ব্যাটারির ক্ষমতা অনেক উন্নত করা হয়েছে। এতে ডেস্কটপ কম্পিউটারের উপযোগী অ্যাপ্লিকেশনও ব্যবহার করা যাবে।
আমাজনের এ ফোন:
বাজারে ট্যাবলেট ও ছোট আকারের ট্যাবলেট কম্পিউটারের সাফল্যের পর অ্যাপলের আইফোনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অনলাইন রিটেইলার প্রতিষ্ঠান আমাজন নতুন একটি স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারে। আগামী বছরের সুবিধাজনক কোনো সময়ে এ স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে পারে ‘কিন্ডল ফায়ার’ ট্যাবলেটের নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান আমাজন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেদের ধারণা, গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ জেলি বিন চালিত আমাজনের এই স্মার্টফোনের নাম ‘এ ফোন’ রাখতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। আমাজন কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাদের পরিকল্পনার কথা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি, আবার স্মার্টফোন বাজারে আনার খবরটি একেবারে উড়িয়েও দেয়নি। ২০১১ সালের শেষ দিকে বাজারে আসা কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেটের চেয়ে স্মার্টফোনটির আকার ছোট হতে পারে। এই স্মার্টফোনে আমাজন অ্যাপ স্টোর, থ্রিডি ম্যাপ-সেবার সুবিধা যুক্ত করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি চশমা:
ট্যাবলেট, স্মার্টফোনের পাশাপাশি এখন স্মার্ট গ্লাস নামের বিশেষ একধরনের প্রযুক্তি-চশমা তৈরির প্রতি নজর দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পেটেন্ট আদালতে স্মার্ট গ্লাসের পেটেন্ট নিবন্ধনের জন্য আবেদনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, স্মার্ট গ্লাস ব্যবহারকারী গ্লাসের কাচে প্রয়োজনীয় তথ্য দেখতে পারবেন। অর্থাত্, নতুন এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে খেলা দেখার সময় ব্যবহারকারীরা চশমায় খেলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্যও জানতে পারবেন। পাশাপাশি কোন খেলোয়াড় কোনদিকে রয়েছেন, তাও দেখা যাবে এ চশমায়। ২০১৩ সালে মাইক্রোসফট স্মার্ট গ্লাসে ব্যবহার উপযোগী অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা শুরু করবে। মাইক্রোসফট ছাড়াও স্মার্ট গ্লাস তৈরির কাজ করছে গুগল, ভ্যুজিক্স, এক্সপ্লোরার ইং, টিটিপিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তবে মাইক্রোসফট স্মার্ট গ্লাসের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে গুগলের প্রযুক্তি চশমা। ২০১৩ সাল নাগাদ আধুনিক প্রযুক্তির এমন চশমা বাজারে আনতে পারে গুগল।
ফুজিত্সু লাইফবুক ২০১৩:
২০১৩ সালে জাপানের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফুজিত্সু লাইফবুক নামের নতুন একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার বাজারে আনবে। এ লাইফবুকটিতে ডিজিটাল ক্যামেরা, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার একসঙ্গে যুক্ত থাকবে এবং অল-ইন-ওয়ান পণ্য হিসেবে কাজ করবে। ব্যবহারকারী চাইলে প্রত্যেকটি পণ্য আলাদা আলাদাভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি পণ্যে আলাদা আলাদা সিপিইউ থাকলেও একটি অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করবে।
ভাঁজ করা গাড়ি:
পরিবেশের ক্ষতি করবে না, এই দুর্মূল্যের বাজারে অযথা জ্বালানি খরচও বাড়াবে না আবার পার্কিংয়ের জন্য বেশি জায়গাও লাগবে না এমন গাড়িই চান আধুনিক হিসেবি মানুষেরা। আর তাঁদের কথা বিবেচনা করেই বিশ্বে সর্বপ্রথম ভাঁজ করা যায় এমন গাড়ি বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমআইটি মিডিয়া ল্যাব। গাড়িটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এর পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা লাগবে না। চাইলেই এ গাড়িটাকে ভাঁজ করে রাখা যাবে। চমক আছে আরও, গাড়ির কোনো স্টিয়ারিং হুইল নেই। সেখানে এর পরিবর্তে আছে একটা জয়স্টিক। তবে আকারে ছোট হওয়ায় গাড়িটিতে চালক ও অন্য আরোহীর প্রবেশ ও বাইরের জন্য একটি মাত্র দরজা রাখা হয়েছে। উদ্ভাবকেরা আশা করছেন, ২০১৩ সালের মধ্যে দুই সিটের এ গাড়ির বাণিজ্যিক উত্পাদন সম্ভব হবে।
ভাঁজ করা স্মার্টফোন:
স্মার্টফোনে কাচের ডিসপ্লের পরিবর্তে নমনীয় প্লাস্টিকের তৈরি ডিসপ্লে ব্যবহূত হবে। ফলে সহজেই ভাঁজ করা যাবে এ ধরনের স্মার্টফোন। আগামী বছরে নমনীয় প্রযুক্তির ডিসপ্লেযুক্ত এমন স্মার্টফোন বাজারে আনবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্যামসাং। এক খবরে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, হালকা-পাতলা ও নমনীয় স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে স্যামসাং।
স্যামসাংয়ের তৈরি নমনীয় প্রযুক্তির ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত হবে অরগানিক এলইডি বা ওএলইডি প্রযুক্তি। উল্লেখ্য, বর্তমানে ওএলইডি প্রযুক্তি টেলিভিশন ও স্মার্টফোনে ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত পাতলা ওএলইডি ডিসপ্লে বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নমনীয় প্লাস্টিক। নমনীয় প্লাস্টিক ব্যবহার করলে স্মার্টফোন হবে টেকসই এবং ভাঁজ করা যাবে। স্যামসাং ছাড়াও নকিয়া, এসার, এলজি নমনীয় প্রযুক্তির স্মার্টফোন তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে।
আধুনিক প্রযুক্তির টেলিভিশন:

আগামী বছর নতুন প্রযুক্তির বৃহদাকার টেলিভিশন বাজারে আনতে পারে স্যামসাং, সনি ও এলজি। আলট্রা ডেফিনেশন (ইউডি) প্রযুক্তির এ টেলিভিশনে ৪ কে পিক্সল ফরম্যাট সমর্থন করবে। ইউডি প্রযুক্তি বর্তমানে বাজারে থাকা হাই ডেফিনেশন (এইচডি) প্রযুক্তির তুলনায় উন্নততর ছবি দেখাতে সক্ষম। নতুন টেলিভিশন স্ক্রিনের প্রতিটি ফ্রেমে পিক্সলের ঘনত্ব ৮০ লাখ, যা এইচডি টেলিভিশনের ১০৮০ পিক্সল রেজ্যুলেশনের তুলনায় ৪ গুণ বেশি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন