২০১৩ সালে ইতোমধ্যেই অনেক নজরকাড়া ফোন বের করেছে Sony, LG এবং Oppo। এদিকে এইচটিসি-ও পিছিয়ে নেই। তারা এবার Qualcomm 600 প্রসেসর চালিত HTC One M7 ফোনটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো। HTC One এবং Optimus G Pro-কে এ সময়ের সবচেয়ে দ্রুতগতির অ্যান্ড্রয়েড ফোন বলে ধরা হয়। কিন্তু Optimus G Pro এর ডিসপ্লে এর আকার ৫.৫ ইঞ্চি সে কারণে অনেকেই একে ফোনের চেয়ে ফ্যাবলেট হিসেবেই ধরতে পছন্দ করেন। যারা একটু ছোট ডিসপ্লে চান তাদের জন্য-ই হচ্ছে HTC One, তাছাড়া এটির অসাধারণ ডিজাইন তো থাকছেই!
ডিসপ্লে
এইচটিসি ওয়ান-এ রয়েছে একটি ৪.৭ ইঞ্চি সুপার এলসিডি৩ ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ১০৮০X১৯২০ পিক্সেল এবং ডিসপ্লের পিক্সেল পার ইঞ্চি (পিপিআই) হচ্ছে ৪৬৯ পিপিআই। ফুল এইচডি ডিসপ্লে তেমন নতুন কিছুই না, ইতোমধ্যেই অনেক ফুল এইচডি ডিসপ্লে সম্বলিত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস বাজারে এসেছে। অবশ্য HTC One-ই হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ফোন যার ডিসপ্লের পিক্সেল পার ইঞ্চি (পিপিআই) হচ্ছে ৪৬৯ পিপিআই।
এই ফোনটিতে রয়েছে কোয়াড-কোর ১.৭ গিগাহার্জ কোয়ালকম (Qualcomm Snapdragon 600) এর প্রসেসর। Qualcomm APQ8064 পর একেই বলা যায় এখন বাজারের সবচেয়ে দ্রুতগতির মোবাইল প্রসেসর। গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটে রয়েছে Adreno 320। আরও থাকছে ২ গিগাবাইট র্যাম। মোবাইলটি পাওয়া যাবে ৩২ গিগাবাইট ও ৬৪ গিগাবাইটের দু’টি আলাদা ভার্সনে।
এছাড়া মোবাইলটিতে থাকছে লি-প্র ২৩০০ mAh এর নন-রিমুভেবল ব্যাটারি। এইচটিসি বলেছে ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশ ভাল পাওয়া যাবে।
ক্যামেরা
ক্যামেরা প্রযুক্তিতে এসে এইচটিসি সবাইকে চমকে দিল। তারা তাদের মোবাইল এ Sony, Samsung এর মত ৮/১৩ মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা দেয়নি, বরং তারা নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ নতুন এক প্রযুক্তি। এইচটিসি এই নতুন প্রযুক্তির নাম দিয়েছে আলট্রা পিক্সেল (UP- Ultra Pixel)।
এটিতে থাকছে ৪ইউপি (আল্ট্রাপিক্সেল) এর ক্যামেরা। এইচটিসি এর বিশ্বাস এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মোবাইল ক্যামেরা এর সেন্সর। অন্যান্য সেন্সরের তুলনায় এই সেন্সরের মধ্য দিয়ে অনেক বেশি আলো প্রবেশ করতে পারে বলে এই সেন্সরের ক্যামেরায় ছবি আসে আরও উজ্জ্বল ও স্পষ্ট। ক্যামেরা কোয়ালিটি আপনি নিজেই দেখে নিন!
অন্যান্য তথ্য
এইচটিসি ওয়ান-এ চলবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ বা জেলি বিন এবং এর উপরে থাকছে এইচটিসি এর সেন্স ৫ (Sense 5)। যদিও অনেকের কাছেই এসব কাস্টম ইন্টারফেস খুব একটা পছন্দ না। কিন্তু রিভিউয়াররা বলছেন, সেন্স ৫-এ অনেক উন্নতি ঘটিয়েছে এইচটিসির ডেভেলপাররা।
বেঞ্চমার্ক
- Antutu Benchmark – ২২৬৭৮
- Quadrent Benchmark – ১১৭৪৬
- Browser Pi – ১৫১
এইচটিসি আশা করছে, ২০১২ সালে এইচটিসির হাত থেকে ধীরে ধীরে ছুটে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড বাজারটা আবার ধরতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে এইচটিসি ওয়ান। অবশ্য এইটিসি ওয়ানের দাম ঘোষণা করার আগেই বাজারে চলে এসেছি অনেকটা সমপর্যায়ের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী সনি এক্সপেরিয়া জেড। তাই নতুন প্রযুক্তির ক্যামেরা আর ব্যতিক্রমী ডিজাইন দিয়ে হলেও এইচটিসিকে অ্যান্ড্রয়েড বাজারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
দাম সংক্রান্ত কোনো তথ্য এখনও জানা না গেলেও বয় জিনিয়াস রিপোর্টের এক সূত্র জানিয়েছে, আইফোন ৫-এর চেয়েও দামী হবে এইচটিসি ওয়ান। বাজারে আসলে বোঝা যাবে আসলেই ব্যবহারকারীরা নতুন প্রযুক্তির ক্যামেরা আর ডিজাইনের এইচটিসি ওয়ানের জন্য অতো টাকা খরচ করতে রাজি আছেন কি না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন